রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: "যার জন্য আল্লাহ কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের ফিকহ (বুঝ) দান করেন।" (বুখারি: ৭১, মুসলিম: ১০৩৭) এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, ফিকহ শিক্ষা ও দ্বীনের গভীর জ্ঞান অর্জন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের প্রমাণ।
উপদেশের গভীরতা: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: "একজন ফকীহ (ফিকহ বিশেষজ্ঞ) শয়তানের বিরুদ্ধে এক হাজার সাধারণ ইবাদতকারীর চেয়ে বেশি শক্তিশালী।" (তিরমিজি: ২৬৮১) এতে বোঝা যায়, সঠিক জ্ঞান ও ফিকহ শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পূর্ণ নাম: মুফতি বোরহান উদ্দিন মাসুম কাসেমী
প্রাথমিক শিক্ষা:
মুফতি বোরহান উদ্দিন মাসুম কাসেমী তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকায়। সেখানে তিনি হিফজ সম্পন্ন করেন, যা তার ধর্মীয় শিক্ষা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
উচ্চ শিক্ষা:
তার পরবর্তী শিক্ষাজীবন ছিল অত্যন্ত গৌরবময়। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকায় দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেন ২০১২ সালে। পরবর্তীতে, তিনি উলূমুল হাদিস ২০১৩ সালে একই মাদরাসায় পড়াশোনা করেন।
আন্তর্জাতিক শিক্ষা:
২০১৪ সালে তিনি দাওরা হাদিসের দ্বিতীয় বার পাঠ সম্পন্ন করেন দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত থেকে। তারপর একই বছরে তিনি ইফতা কোর্স করেন জামিয়াতুল মাহমুদ ইসলামিক রিচার্জ সেন্টার, দেওবন্দ, ভারত থেকে। এছাড়াও, তিনি উসূলুল ফিকহে একটানা পাঁচ বছর ঢাকা মাসনা মাদরাসা, মোহাম্মদী হাউজিং, নামাপাড়া, খিলক্ষেত, ঢাকা থেকে পড়াশোনা করেন।
তিনি যাদের সরাসরি ছাত্র:
আমার সরাসরি ওস্তাদ ছিলেন:
মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। সদরুল মাদাররিসিন ও শাইখুল হাদিস, দারুল উলুম দেওবন্দ ভারত আমি শায়েখের কাছে সরাসরি বুখারী পড়েছি
মুফতি জামিল আহমেদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
আশরাফুল হেদায়া সহ বহু কিতাবের লেখক দেওবন্দের সাইফুল হাদিস এবং দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক।
আমি তার কাছে দেওবন্দ মাদ্রাসার ফতোয়া বিভাগে আলকাওয়াইদুল ফিকহিয়্যা কিতাবটি সরাসরি পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
বাহারুল উলুম নেয়ামতুল্লাহ আ’জমী হাফিজহুল্লাহ। উলুমুল হাদিস বিভাগের প্রধান দারুল উলুম দেওবন্দ ভারত।
আমি তার কাছে সরাসরি মুসলিম শরীফ পড়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।
মুফতি ইউসুফ তালভী হাফিজাহুল্লাহ।
মুহাদ্দিস দারুল উলুম দেওবন্দ ভারত।
আমি তার কাছে মুআত্বা মালেক পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ
ধর্মীয় ও শিক্ষাগত অবদান:
মুফতি বোরহান উদ্দিন মাসুম কাসেমী একটি সুপ্রতিষ্ঠিত আলেম হিসেবে তার ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তার ও প্রচারে নিয়োজিত রয়েছেন। তার শিক্ষা জীবন ও গভীর ধর্মীয় জ্ঞান তাকে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করেছে।
সামাজিক ও ধর্মীয় অবদান:
মুফতি বোরহান উদ্দিন মাসুম কাসেমী বর্তমানে তার ধর্মীয় শিক্ষা ও জ্ঞানের মাধ্যমে বহু ছাত্র-ছাত্রীদের আলোকিত করছেন এবং ইসলামের সঠিক অনুশীলনে উৎসাহিত করছেন।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য:
মুফতি বোরহান উদ্দিন মাসুম কাসেমী ভবিষ্যতে ইসলামিক শিক্ষা ও গবেষণায় তার অবদান আরও বৃদ্ধি করতে চান। তার লক্ষ্য হল, ইসলামিক জ্ঞানের প্রসার ঘটানো এবং মুসলিম সমাজে সঠিক দীন ও আক্বীদা প্রচারের মাধ্যমে মানবতার কল্যাণে কাজ করা।
আমাদের কার্যক্রম সমূহ




শিক্ষক মন্ডলিগন
কেন আমাদের কার্যক্রম ফলপ্রসু
মুফতি আশরাফ আলী সাহেব (হাফিজাহুল্লাহ)
মুফতি আশরাফ আলী সাহেব হলেন এক অতুলনীয় আলেম, যিনি দীর্ঘ বছর ধরে ইসলামিক জ্ঞানের বিস্তার ও গবেষণার মাধ্যমে আলেম সমাজে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত। যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার ইফতা বিভাগের সিনিয়র মুফতি হিসেবে তার অবদান অমুল্য। তিনি শুধুমাত্র শিক্ষকই নন, একজন পরামর্শদাতা, একজন গাইড, যিনি তার জ্ঞানের আলোয় বহু ছাত্রের জীবন আলোকিত করেছেন।
তাঁর শিক্ষা জীবন এবং ধর্মীয় অবদান:
তার শিক্ষাজীবন একটি অনুপ্রেরণা। বহু কিতাবের লেখক ও গবেষক মুফতি আশরাফ আলী সাহেব আজকের দিনে ইফতার বিভাগের একজন মুফতি হিসেবে মাদ্রাসার অমূল্য রত্ন। তার শিক্ষাদান কেবল তত্ত্বগত নয়, বরং প্রত্যেকটি পাঠে শিখানো হয় ধর্মীয় নৈতিকতা, মানবতা এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি বিশ্বাস করেন যে, একজন আলেম শুধু কিতাবের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকেন না, তাকে জীবনেও তা বাস্তবায়ন করতে হয়।
মুফতি আশরাফ আলী সাহেবের প্রতিটি পরামর্শ, তাঁর প্রতিটি আলোচনায় তার অন্তরের পবিত্রতা, নিষ্ঠা এবং দ্বীনি দায়িত্ববোধ প্রতিফলিত হয়। তাঁর শিক্ষকতা শুধু পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষার গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা মানুষের অন্তরে ইসলামের প্রতি গভীর প্রেম ও শ্রদ্ধা সৃষ্টি করে।
borhanuddin5889@gmail.com
মুফতি ইয়াহিয়া সাহেব হলেন একজন অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব, যার জীবনধারা এবং জ্ঞান মানুষের হৃদয়ে এক বিশাল প্রভাব ফেলেছে। তিনি হাফেজ মাওলানা মুফতি সুলাইমান সাহেবের সুযোগ্য ছাত্র, যিনি বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুফতি হিসেবে পরিচিত। মুফতি ইয়াহিয়া সাহেবের তত্ত্বাবধানে অনেক ছাত্র ইসলামি জ্ঞানে উৎকর্ষতা অর্জন করেছে এবং আজকের যুগে ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বাঁচিয়ে রেখেছে।
তাঁর শিক্ষাদান এবং ধর্মীয় অবদান:
মুফতি ইয়াহিয়া সাহেবের ইফতা ও উসূলুল ফিকহ এর প্রতি তার গভীর জ্ঞান এবং তার শিক্ষাদান মানুষের জন্য এক অমূল্য রত্ন। তিনি শুধুমাত্র মাদ্রাসায় নয়, ধর্মীয় সমাজেও একজন পথপ্রদর্শক। তার দ্বারা পরিচালিত প্রতিটি পাঠ, প্রতিটি আলোচনা একটি মহান শিক্ষার নিদর্শন। একজন আসল শিক্ষক কখনো শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক পড়ায় না, বরং ছাত্রের মধ্যে ইসলামিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, এবং আল্লাহর প্রতি ভয় ও ভালোবাসা জন্মায়। মুফতি ইয়াহিয়া সাহেব তার জীবনকে এমনভাবে গড়ে তুলেছেন, যেন প্রতিটি মুহূর্তে তার শিক্ষার মধ্য দিয়ে আল্লাহর পথে চলার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।
borhanuddin5889@gmail.com
মুফতি মুনির সাহেব (হাফিজাহুল্লাহ)
মুফতি মনির সাহেবের জীবনে ইসলামি শিক্ষার প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদান আজও অনুপ্রেরণার উৎস। যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার ইফতার বিভাগের স্বনামধন্য মুফতি, তিনি কেবল একটি শিক্ষক নন, বরং ইসলামের সঠিক ও গভীর জ্ঞানের এক জীবন্ত অনুস্মারক। তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ইসলামের আধুনিক সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন।
তাঁর শিক্ষাদান ও গবেষণা:
মুফতি মনির সাহেব শুধুমাত্র ধর্মীয় পদ্ধতিতেই না, আধুনিক সমস্যাগুলোর প্রতিক্রিয়ায়ও সমাধান প্রদান করেন। তাঁর গবেষণা এবং কিতাব লেখার প্রতি ভালোবাসা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুফতি মনির সাহেবের প্রতি ছাত্রদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফলস্বরূপ। তার শিষ্যরা তার প্রতিটি শিখানো পাঠে জীবনকে আরো সঠিক পথে পরিচালিত করছে। তাঁর শিক্ষাদানের সুনিপুণতার ফলশ্রুতিতে অনেকেই ইসলামিক বিষয়ে সুদূরপ্রসারী এবং প্রাঞ্জল জ্ঞান অর্জন করেছে।
borhanuddin5889@gmail.com
মাওলানা মুফতি মুহাদ্দিস আতিকুর রহমান সাহেব (হাফিজাহুল্লাহ)
মাওলানা মুফতি মুহাদ্দিস আতিকুর রহমান সাহেব হলেন একজন শ্রদ্ধেয় মুহাদ্দিস, যার জীবন ইসলামী শিক্ষার প্রতি এক বিশেষ ভালোবাসার সাক্ষর। তিনি যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার সম্মানিত মুহাদ্দিস হিসেবে ইসলামিক জ্ঞানের প্রতিটি খুঁটিনাটি শিখিয়ে চলেছেন। তাঁর শিক্ষায় শুধু কিতাবের বাণী নয়, বরং মানুষের হৃদয়ে প্রকৃত ইসলামের জ্ঞানে আলোকিত হওয়ার আহ্বান রয়েছে।
তাঁর অবদান:
মাওলানা মুফতি আতিকুর রহমান সাহেবের পথপ্রদর্শন এবং ইসলামী শিক্ষার প্রতি নিষ্ঠা আজকের যুগে এক অনন্য নিদর্শন। তার শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্ররা শুধু আলেমই হয়ে ওঠে না, বরং তাদের মধ্যে আল্লাহর প্রেম, খোদার সাথে সম্পর্ক এবং ইসলামী জীবনের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি জন্মায়। তিনি বিশ্বাস করেন যে, একটি মাদ্রাসার সফলতা তার ছাত্রদের মধ্যে ইসলামের আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ও মূল্যবোধ সঞ্চারিত করার মাধ্যমে মাপা যায়।